Update News

প্রিয় ভিজিট'র আসসালামু আলাইকুম DoctorEbari.com এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আমরা সিলেট বিভাগে ফেইসবুক গ্রুপ- "সিলেট ডাক্তারি সহায়তা" এর মাধ্যমে দীর্ঘ দিন যাবত ফ্রী'তে ডাক্তারি তথ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় সুবিধাভোগিদের কথা চিন্তা করে আরও উন্নত চিকিৎসা তথ্য সেবা সহজ ভাবে প্রদান করার লক্ষে "DoctorEbari.com এর শুভসূচনা করলাম। এখন থেকে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনারা আপনার কাঙ্খিত ডাক্তারের তথ্য এবং বেশ কিছু ডাক্তারের Appointment নিতে পারেন। আপনাদের যে কোন পরামর্শ, কোন তথ্য Update এর প্রয়োজন হলে বলবেন এবং বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +447380563143

পাইলস কি পাইলস কেন হয়। পাইলসেল লক্ষণ ও চিকিৎসা

পাইলস কি পাইলস কেন হয়। পাইলসেল লক্ষণ ও চিকিৎসা

পাইলস (Piles) বা হেমোরয়েডস (Hemorrhoids) হলো মলদ্বার ও রেকটামের ভেতরের রক্তনালী ফুলে যাওয়া বা শিরা স্ফীত হওয়া। এটি খুব সাধারণ একটি সমস্যা, বিশেষ করে যাদের দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে বা বেশি সময় ধরে বসে থাকতে হয়।


🔹 পাইলস কেন হয়

পাইলস হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো:

  1. কোষ্ঠকাঠিন্য – শক্ত মল চাপ দিয়ে বের করতে গেলে শিরায় চাপ পড়ে।
  2. দীর্ঘদিন ডায়রিয়া – ঘন ঘন মলত্যাগেও চাপ সৃষ্টি হয়।
  3. অতিরিক্ত ওজন (স্থূলতা) – মলদ্বারে চাপ বাড়ায়।
  4. গর্ভাবস্থা – গর্ভকালীন সময়ে রক্তনালীতে চাপ বেড়ে যায়।
  5. বসে থাকা জীবনযাপন – দীর্ঘ সময় বসে থাকলে রক্ত জমে থাকে।
  6. ভারী জিনিস তোলা – হঠাৎ পেটের চাপ বেড়ে শিরা ফেঁপে যায়।
  7. কম আঁশযুক্ত খাবার – হজমে সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ায়।

🔹 পাইলসের লক্ষণ

  • মলদ্বারে চুলকানি বা জ্বালা
  • টয়লেট করার সময় রক্ত পড়া (উজ্জ্বল লাল)
  • মলদ্বারে ব্যথা বা অস্বস্তি
  • মলদ্বার থেকে ফোলা মাংসপিণ্ড বেরিয়ে আসা (প্রল্যাপ্সড হেমোরয়েড)
  • বসে থাকলে অস্বস্তি বা চাপ অনুভূত হওয়া

🔹 পাইলসের চিকিৎসা

ঘরোয়া/প্রাথমিক ব্যবস্থা:

  1. আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া – শাকসবজি, ফলমূল, ভুসি, ডাল।
  2. প্রচুর পানি পান করা – প্রতিদিন অন্তত ২-৩ লিটার।
  3. কোষ্ঠকাঠিন্য এড়ানো – ঝাল, ভাজা খাবার ও বেশি মসলা কমানো।
  4. গরম পানির সিটজ বাথ – দিনে কয়েকবার ১০-১৫ মিনিট গরম পানিতে বসা।
  5. ব্যায়াম করা – নিয়মিত হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম।
  6. দীর্ঘ সময় বসে থাকা এড়ানো

চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ:

  • মল নরম করার ওষুধ (stool softener, laxatives)
  • ব্যথা বা চুলকানি কমানোর জন্য ক্রিম/সাপোজিটরি
  • প্রদাহ কমানোর জন্য মলম বা ওষুধ

সার্জারি বা উন্নত চিকিৎসা:

  • রাবার ব্যান্ড লিগেশন (গুটিতে রাবার ব্যান্ড লাগানো)
  • ইনজেকশন থেরাপি (স্ক্লেরোথেরাপি)
  • লেজার চিকিৎসা
  • গুরুতর ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার

👉 যদি রক্তক্ষরণ বেশি হয়, টয়লেটে যাওয়ার সময় তীব্র ব্যথা হয় বা মলদ্বারে বড় গুটি বেরিয়ে আসে, তবে অবশ্যই ডাক্তার (প্রক্টোলজিস্ট/সার্জন) এর পরামর্শ নিতে হবে।

 

Share Views: 82