Update News
খুব ভালো প্রশ্ন করেছেন 💨
ধূমপান বন্ধ করার পরও শরীরে (বিশেষ করে ফুসফুস ও বুকে) কিছু ক্ষতিকর পদার্থ ও প্রভাব থেকে যায় — তবে সময়ের সাথে সাথে শরীর এগুলো ধীরে ধীরে দূর করতে পারে। নিচে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা দিচ্ছি 👇
টার (Tar):
সিগারেটের ধোঁয়ায় থাকা কালো আঠালো পদার্থ যা ফুসফুসে জমে যায়।
👉 এটি শ্বাসনালী ব্লক করে, ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমায় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
নিকোটিনের অবশিষ্টাংশ:
ধূমপান বন্ধ করার পরও কিছুদিন রক্ত ও টিস্যুতে নিকোটিনের চিহ্ন থাকে, যা আসক্তি ও অস্বস্তি তৈরি করে।
কার্বন মনোক্সাইড:
এটি রক্তে অক্সিজেন বহনের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ধূমপান বন্ধ করার পর ১–২ দিনে তা কমে যায়, তবে কোষের ক্ষতি কিছুদিন স্থায়ী হয়।
ভারী ধাতু (যেমন ক্যাডমিয়াম, সীসা, আর্সেনিক):
এই উপাদানগুলো ফুসফুসে, রক্তে এবং কোষে জমে থাকে — এগুলো পুরোপুরি বের হতে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর সময় লাগে।
| সময় | শরীরে পরিবর্তন |
|---|---|
| ২০ মিনিটে | রক্তচাপ ও হার্টবিট স্বাভাবিক হতে শুরু করে |
| ২ দিনে | নিকোটিন পুরোপুরি বের হতে শুরু করে |
| ২–৩ মাসে | ফুসফুসের কার্যক্ষমতা উন্নতি হয় |
| ১–৯ মাসে | কফ কমে, শ্বাস নিতে সহজ হয় |
| ১ বছরে | হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অর্ধেকে নেমে আসে |
| ৫–১০ বছরে | ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি ধীরে ধীরে কমে |