Update News

প্রিয় ভিজিট'র আসসালামু আলাইকুম DoctorEbari.com এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আমরা সিলেট বিভাগে ফেইসবুক গ্রুপ- "সিলেট ডাক্তারি সহায়তা" এর মাধ্যমে দীর্ঘ দিন যাবত ফ্রী'তে ডাক্তারি তথ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় সুবিধাভোগিদের কথা চিন্তা করে আরও উন্নত চিকিৎসা তথ্য সেবা সহজ ভাবে প্রদান করার লক্ষে "DoctorEbari.com এর শুভসূচনা করলাম। এখন থেকে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনারা আপনার কাঙ্খিত ডাক্তারের তথ্য এবং বেশ কিছু ডাক্তারের Appointment নিতে পারেন। আপনাদের যে কোন পরামর্শ, কোন তথ্য Update এর প্রয়োজন হলে বলবেন এবং বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +447380563143

ধূমপান ছাড়ার পরেও যে ক্ষতিকর পদার্থ রয়ে যায় বুকে! ক্ষতিকর পদার্থ বের করার উপায়।

ধূমপান ছাড়ার পরেও যে ক্ষতিকর পদার্থ  রয়ে যায় বুকে! ক্ষতিকর পদার্থ বের করার উপায়।

খুব ভালো প্রশ্ন করেছেন 💨
ধূমপান বন্ধ করার পরও শরীরে (বিশেষ করে ফুসফুস ও বুকে) কিছু ক্ষতিকর পদার্থ ও প্রভাব থেকে যায় — তবে সময়ের সাথে সাথে শরীর এগুলো ধীরে ধীরে দূর করতে পারে। নিচে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা দিচ্ছি 👇


🧬 ধূমপান বন্ধের পরেও বুকে যে ক্ষতিকর পদার্থ থেকে যায়:

  1. টার (Tar):
    সিগারেটের ধোঁয়ায় থাকা কালো আঠালো পদার্থ যা ফুসফুসে জমে যায়।
    👉 এটি শ্বাসনালী ব্লক করে, ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমায় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

  2. নিকোটিনের অবশিষ্টাংশ:
    ধূমপান বন্ধ করার পরও কিছুদিন রক্ত ও টিস্যুতে নিকোটিনের চিহ্ন থাকে, যা আসক্তি ও অস্বস্তি তৈরি করে।

  3. কার্বন মনোক্সাইড:
    এটি রক্তে অক্সিজেন বহনের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ধূমপান বন্ধ করার পর ১–২ দিনে তা কমে যায়, তবে কোষের ক্ষতি কিছুদিন স্থায়ী হয়।

  4. ভারী ধাতু (যেমন ক্যাডমিয়াম, সীসা, আর্সেনিক):
    এই উপাদানগুলো ফুসফুসে, রক্তে এবং কোষে জমে থাকে — এগুলো পুরোপুরি বের হতে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর সময় লাগে।


⏱ শরীর কতদিনে পরিশুদ্ধ হয়:

সময় শরীরে পরিবর্তন
২০ মিনিটে রক্তচাপ ও হার্টবিট স্বাভাবিক হতে শুরু করে
২ দিনে নিকোটিন পুরোপুরি বের হতে শুরু করে
২–৩ মাসে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা উন্নতি হয়
১–৯ মাসে কফ কমে, শ্বাস নিতে সহজ হয়
১ বছরে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অর্ধেকে নেমে আসে
৫–১০ বছরে ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি ধীরে ধীরে কমে

🌿 বুকে জমে থাকা ক্ষতিকর পদার্থ দূর করার উপায়:

  1. প্রচুর পানি পান করুন — টক্সিন বের হতে সাহায্য করে।
  2. গরম পানির ভাপ নিন (steam inhalation) — ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।
  3. গভীর শ্বাসের ব্যায়াম করুন (breathing exercise) — যেমন “প্রাণায়াম”।
  4. ফল ও সবজি খান, বিশেষ করে ভিটামিন C ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার (কমলা, পেয়ারা, গাজর, পালং)।
  5. হালকা ব্যায়াম বা হাঁটা — ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায়।
  6. ধোঁয়া ও ধুলাবালি থেকে দূরে থাকুন।

 

Share Views: 29