Update News

প্রিয় ভিজিট'র আসসালামু আলাইকুম DoctorEbari.com এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আমরা সিলেট বিভাগে ফেইসবুক গ্রুপ- "সিলেট ডাক্তারি সহায়তা" এর মাধ্যমে দীর্ঘ দিন যাবত ফ্রী'তে ডাক্তারি তথ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় সুবিধাভোগিদের কথা চিন্তা করে আরও উন্নত চিকিৎসা তথ্য সেবা সহজ ভাবে প্রদান করার লক্ষে "DoctorEbari.com এর শুভসূচনা করলাম। এখন থেকে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনারা আপনার কাঙ্খিত ডাক্তারের তথ্য এবং বেশ কিছু ডাক্তারের Appointment নিতে পারেন। আপনাদের যে কোন পরামর্শ, কোন তথ্য Update এর প্রয়োজন হলে বলবেন এবং বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +447380563143

লিভারের চর্বি কেন হয়? কারণ ও চিকিৎসা।

লিভারের চর্বি কেন হয়? কারণ ও চিকিৎসা।

লিভারের চর্বি (Fatty Liver) বর্তমানে খুবই সাধারণ একটি সমস্যা, যা সময়মতো চিকিৎসা না নিলে সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সারের মতো জটিল রোগে পরিণত হতে পারে।


🩸 লিভারের চর্বি কী?

লিভারে যখন অতিরিক্ত চর্বি জমে (লিভারের মোট ওজনের ৫–১০% এর বেশি), তখন তাকে ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) বলা হয়।
এর দুই ধরনের প্রধান রূপ আছে:

  1. Alcoholic Fatty Liver – অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে হয়।
  2. Non-Alcoholic Fatty Liver (NAFLD) – যারা মদ পান করেন না, তাদের মধ্যে অন্যান্য কারণে হয়।

⚠️ লিভারের চর্বি হওয়ার কারণ

  1. 🍔 অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত ও ফাস্টফুড খাওয়া
  2. ⚖️ স্থূলতা (ওজন বেশি থাকা)
  3. 🩸 ডায়াবেটিস (বিশেষ করে টাইপ–২)
  4. 💉 রক্তে চর্বি বা ট্রাইগ্লিসারাইড বেশি থাকা
  5. 🚶‍♂️ শারীরিক পরিশ্রমের অভাব (অলস জীবনযাপন)
  6. 💊 কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (যেমন – স্টেরয়েড, ট্যামোক্সিফেন ইত্যাদি)
  7. 🍺 অ্যালকোহল বা মদ্যপান
  8. 🧬 জেনেটিক বা বংশগত কারণ

🧠 লক্ষণ (Symptoms)

প্রথম দিকে সাধারণত কোনো লক্ষণ থাকে না।
তবে সময়ের সাথে দেখা দিতে পারে—

  • সবসময় ক্লান্তি অনুভব করা
  • ক্ষুধা কমে যাওয়া
  • ডান দিকের পেটে (লিভারের পাশে) ব্যথা বা ভারী ভাব
  • বমি বমি ভাব
  • ওজন কমে যাওয়া
  • চোখ বা ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া (জন্ডিস – গুরুতর পর্যায়ে)

💊 চিকিৎসা ও প্রতিরোধ

ফ্যাটি লিভারের মূল চিকিৎসা হলো জীবনধারার পরিবর্তন (Lifestyle change)

🥗 খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন:

  • তেল–চর্বি, ভাজা–পোড়া খাবার কম খান।
  • ফাস্টফুড, মিষ্টি, কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন।
  • ফলমূল, সবজি, ও আঁশযুক্ত খাবার বাড়ান।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
  • প্রতিদিন লবণ ও চিনি নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে গ্রহণ করুন।

🏃‍♂️ শারীরিক অভ্যাস:

  • নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন (প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা)।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ কমান।

💉 চিকিৎসা:

  • ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল বা ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
  • প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে লিভার সাপোর্টিভ ওষুধ যেমন —
    • Essentiale, Livolin, Hepamerz, Silymarin ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
      (নিজে থেকে না খেয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন)

🚫 যা এড়িয়ে চলবেন:

  • মদ্যপান
  • অতিরিক্ত তেলযুক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার
  • দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা
  • ঘন ঘন জাঙ্কফুড খাওয়া

🧬 বিশেষ পরামর্শ:

  • বছরে অন্তত একবার লিভার ফাংশন টেস্ট (LFT) করুন।
  • আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে লিভারের চর্বির অবস্থা জেনে রাখুন।

 

Share Views: 60