চোখের নিচে কালি (ডার্ক সার্কেল) পড়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। শুধু ভিটামিনের অভাবই নয়, ঘুমের অভাব, মানসিক চাপ, বয়স, বংশগত কারণ, অ্যালার্জি, শরীরে পানির ঘাটতি, দীর্ঘ সময় মোবাইল/কম্পিউটার ব্যবহার ইত্যাদিও দায়ী হতে পারে। তবে ভিটামিনের ঘাটতি থাকলেও ডার্ক সার্কেল দেখা দেয়।
কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের নিচে কালি পড়ে
- ভিটামিন K – রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এর অভাবে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে এবং ডার্ক সার্কেল দেখা দেয়।
- ভিটামিন C – কোলাজেন তৈরি করে, ত্বক টানটান রাখে। ঘাটতি হলে ত্বক পাতলা হয়ে ডার্ক সার্কেল স্পষ্ট হয়।
- ভিটামিন E – অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এর অভাবে ত্বক রুক্ষ হয়ে কালচে দাগ পড়তে পারে।
- ভিটামিন B12 (এবং অন্যান্য B-কমপ্লেক্স) – রক্তে অক্সিজেন সরবরাহে ভূমিকা রাখে। ঘাটতিতে রক্তস্বল্পতা হয়, ফলে চোখের নিচে কালি দেখা দেয়।
- আয়রন (যদিও ভিটামিন নয়, তবে গুরুত্বপূর্ণ) – আয়রনের অভাবে অ্যানিমিয়া হয়, তখন চোখের নিচে দাগ পড়তে পারে।
চিকিৎসা ও প্রতিকার
✅ পর্যাপ্ত ঘুম (রাতে অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা)
✅ সুষম খাদ্য গ্রহণ
- ভিটামিন C → লেবু, কমলা, আমলকি, টমেটো, পেয়ারা
- ভিটামিন K → পালং শাক, ব্রকলি, বাঁধাকপি
- ভিটামিন E → কাঠবাদাম, আখরোট, সূর্যমুখীর তেল
- ভিটামিন B12 → ডিম, মাছ, দুধ, মাংস
- আয়রন → পালং শাক, কলিজা, ডাল, বিট
✅ পানি বেশি পান করা (ডিহাইড্রেশন রোধে)
✅ চোখে ঠান্ডা সেঁক দেওয়া (শসার টুকরো বা ঠান্ডা চা-ব্যাগ ব্যবহার করা যায়)
✅ স্ট্রেস কমানো ও স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণ করা
👉 তবে যদি ডার্ক সার্কেল দীর্ঘদিন থাকে এবং ক্লান্তি, শরীরে দুর্বলতা, রক্তস্বল্পতা ইত্যাদি লক্ষণও দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারকে দেখিয়ে রক্ত পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।