হানিয়া (Hernia) একটি সাধারণ রোগ, যেখানে দেহের কোনো অঙ্গ বা টিস্যু (যেমন অন্ত্র বা চর্বি) আশেপাশের দুর্বল পেশি বা টিস্যুর ভেতর দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। এটি সাধারণত পেটের দেয়ালের দুর্বল জায়গায় হয়ে থাকে।
হানিয়া হওয়ার কারণ
- জন্মগতভাবে পেটের দেয়ালে দুর্বলতা থাকা
- অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা
- বারবার ভারী জিনিস তোলা
- দীর্ঘদিন কাশি বা হাঁচি হওয়া
- কোষ্ঠকাঠিন্য বা প্রস্রাবে চাপ দিয়ে বসা
- বয়স বাড়ার কারণে পেশি দুর্বল হয়ে যাওয়া
- অপারেশনের পরে ক্ষতস্থানে দুর্বলতা তৈরি হওয়া
হানিয়ার লক্ষণ
- পেটে বা কুঁচকির কাছে ছোট ফোলা বা গোঁটা দেখা যায়
- দাঁড়ালে বা কাশি দিলে ফোলা বেশি দেখা দেয়
- শোয়ার পর গোঁটা ছোট হয়ে যায় বা ভেতরে ঢুকে যায়
- জায়গায় অস্বস্তি বা টান অনুভূত হওয়া
- ব্যথা বা ভারীভাব লাগা
- গুরুতর ক্ষেত্রে হঠাৎ তীব্র ব্যথা, ফোলা শক্ত হয়ে যাওয়া, বমি, পেট ফাঁপা, গ্যাস বা মল বন্ধ হয়ে যাওয়া → এটিকে স্ট্র্যাংগুলেটেড হানিয়া বলে, যা জরুরি অবস্থা।
সমাধান / চিকিৎসা
- প্রাথমিক পর্যায়: চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধে হানিয়া সারে না, তবে ভারী জিনিস না তোলা, কোষ্ঠকাঠিন্য এড়ানো, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহায়ক।
- ট্রাস বা সাপোর্ট বেল্ট: কিছু ক্ষেত্রে সাময়িক আরাম দিতে পারে, কিন্তু এটি স্থায়ী সমাধান নয়।
- অপারেশন (Hernia Repair Surgery): হানিয়ার একমাত্র স্থায়ী চিকিৎসা হলো অস্ত্রোপচার।
- ওপেন সার্জারি বা ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি করা হয়।
- এতে দুর্বল জায়গা মেরামত করে মেশ (Mesh) বসানো হয়।
⚠️ যদি হঠাৎ হানিয়ার জায়গায় তীব্র ব্যথা, ফোলা শক্ত হয়ে যাওয়া, বমি বা মল না হওয়া দেখা দেয়, তবে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে।
আ