শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সমস্যাকে হাইপারহাইড্রোসিস (Hyperhidrosis) বলা হয়। এটা সাধারণত হাত, পা, বগল বা পুরো শরীরে হতে পারে।
⚠️ সম্ভাব্য লক্ষণ
- স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেও প্রচুর ঘাম হওয়া।
- হাত-পা সবসময় ভিজে থাকা।
- কাপড় বারবার ভিজে যাওয়া।
- রাতে ঘুমের সময়ও অস্বাভাবিক ঘাম হওয়া।
- ঘামজনিত কারণে ত্বকে র্যাশ, লালচে দাগ বা চুলকানি হওয়া।
- সামাজিক বা কাজের জায়গায় অস্বস্তি অনুভব করা।
🌐 সাধারণ কারণ
- প্রাইমারি হাইপারহাইড্রোসিস – বিশেষ কোনো কারণ ছাড়াই জন্মগত বা স্নায়বিক সমস্যার জন্য হয়।
- সেকেন্ডারি হাইপারহাইড্রোসিস – অন্য রোগের কারণে হয়, যেমন:
- থাইরয়েডের সমস্যা
- ডায়াবেটিস
- স্থূলতা
- নার্ভের সমস্যা
- সংক্রমণ বা জ্বর
- কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
✅ সমাধান ও করণীয়
- প্রতিদিন নিয়মিত গোসল করুন, পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করুন।
- তুলা বা ঢিলেঢালা পোশাক পরুন যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে।
- বেশি মসলাযুক্ত, ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল জাতীয় খাবার কম খান।
- মানসিক চাপ (স্ট্রেস, টেনশন) কমানোর চেষ্টা করুন।
- অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট (Antiperspirant) ব্যবহার করতে পারেন – এতে অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড থাকে যা ঘাম কমায়।
- বেশি গুরুতর হলে চিকিৎসকের পরামর্শে পাওয়া যায়:
- ওষুধ (Anti-cholinergic)
- বোটক্স ইনজেকশন (Botulinum toxin)
- আইওনটোফোরেসিস থেরাপি (হাত-পায়ের অতিরিক্ত ঘামের জন্য)
- সার্জারি (গুরুতর ও অন্য কিছুতে কাজ না করলে)
👉 তবে যদি হঠাৎ অতিরিক্ত ঘাম শুরু হয়, ওজন কমতে থাকে, রাতে প্রচুর ঘাম হয়, অথবা সঙ্গে দুর্বলতা/বুক ধড়ফড়ানি/হাত কাঁপা দেখা দেয় — তাহলে দ্রুত ডাক্তার দেখানো উচিত।