Update News

প্রিয় ভিজিট'র আসসালামু আলাইকুম DoctorEbari.com এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আমরা সিলেট বিভাগে ফেইসবুক গ্রুপ- "সিলেট ডাক্তারি সহায়তা" এর মাধ্যমে দীর্ঘ দিন যাবত ফ্রী'তে ডাক্তারি তথ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় সুবিধাভোগিদের কথা চিন্তা করে আরও উন্নত চিকিৎসা তথ্য সেবা সহজ ভাবে প্রদান করার লক্ষে "DoctorEbari.com এর শুভসূচনা করলাম। এখন থেকে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনারা আপনার কাঙ্খিত ডাক্তারের তথ্য এবং বেশ কিছু ডাক্তারের Appointment নিতে পারেন। আপনাদের যে কোন পরামর্শ, কোন তথ্য Update এর প্রয়োজন হলে বলবেন এবং বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +447380563143

সকালে কেন স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি হয়? কারণ ও চিকিৎসা।

সকালে কেন স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি হয়? কারণ ও চিকিৎসা।

সকালে স্ট্রোকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি — এটি চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রমাণিত একটি সত্য। নিচে সহজভাবে এর কারণ ও করণীয়/চিকিৎসা দেওয়া হলো 👇


🧠 সকালে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি হওয়ার কারণ:

  1. রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে যাওয়া (Morning BP Surge):
    ঘুম থেকে উঠার পর শরীরে হরমোন পরিবর্তনের কারণে (বিশেষত কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিন) রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে যায়। এই উচ্চচাপ মস্তিষ্কের রক্তনালিতে চাপ সৃষ্টি করে।

  2. রক্ত ঘন হয়ে যাওয়া:
    রাতে দীর্ঘ সময় ঘুমানোর পর শরীরে পানি কমে যায়, ফলে রক্ত ঘন হয় এবং clot (জমাট বাঁধা রক্ত) সহজে তৈরি হয়। এটি স্ট্রোকের প্রধান কারণ।

  3. রক্তনালির সংকোচন:
    সকালে ঠান্ডা আবহাওয়া বা হঠাৎ শরীর ঠান্ডা গরমে পড়লে রক্তনালি সংকুচিত হয়ে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়।

  4. হৃদরোগ বা অনিয়মিত হার্টবিট (Atrial fibrillation):
    সকালে হার্টবিটের অনিয়ম বাড়ে, যা clot তৈরি করে মস্তিষ্কে পাঠাতে পারে।

  5. ঘুমের ঘাটতি ও মানসিক চাপ:
    পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বা সকালে তাড়াহুড়ো করে কাজ শুরু করলে স্ট্রেস হরমোন বেড়ে যায়, যা রক্তচাপ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।


⚠️ স্ট্রোকের সতর্ক সংকেত (লক্ষণ):

মনে রাখুন — "FAST" নিয়ম

  • F (Face): মুখ বেঁকে যাওয়া
  • A (Arm): এক হাত বা পা অবশ হয়ে যাওয়া
  • S (Speech): কথা জড়ানো বা না বলা
  • T (Time): সাথে সাথে চিকিৎসা নিন

🩺 চিকিৎসা ও করণীয়:

  1. জরুরি ব্যবস্থা:
    উপরের লক্ষণ দেখা মাত্রই রোগীকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিতে হবে
    স্ট্রোকের ৩–৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা (thrombolytic therapy) দিলে স্থায়ী ক্ষতি অনেক কম হয়।

  2. চিকিৎসা পদ্ধতি:

    • ইসকেমিক স্ট্রোক (রক্তজমাট): রক্ত পাতলা করার ওষুধ (যেমন Aspirin, Clopidogrel, বা থ্রম্বোলাইসিস) দেওয়া হয়।
    • হেমোরেজিক স্ট্রোক (রক্তপাত): রক্তপাত বন্ধ ও মস্তিষ্কে চাপ কমানোর চিকিৎসা করা হয়।
  3. দীর্ঘমেয়াদে প্রতিরোধ:

    • সকালে উঠেই পানি পান করুন (কমপক্ষে ১ গ্লাস)।
    • রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
    • ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করুন।
    • নিয়মিত হাঁটুন ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
    • ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ বন্ধ করবেন না।

 

Share Views: 78