রাতে ঘুমের মধ্যে লালা পড়া (Drooling during sleep) অনেকেরই সাধারণ সমস্যা। এটি সাধারণত গুরুতর নয়, তবে কখনও কখনও শরীরের কিছু সমস্যা বা অভ্যাসের কারণে হয়। নিচে কারণ ও চিকিৎসা বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো 👇
🧠 লালা পড়ার কারণ
-
ঘুমের ভঙ্গি (Sleeping position)
- যারা পাশে বা উল্টো হয়ে ঘুমান, তাদের মুখ থেকে লালা বের হয়ে আসে সহজে।
-
নাক বন্ধ বা শ্বাসকষ্ট (Nasal blockage)
- সর্দি, অ্যালার্জি, সাইনাসের সমস্যা বা টনসিল বড় থাকলে মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হয়, ফলে লালা বের হয়।
-
অতিরিক্ত লালা উৎপাদন (Hypersalivation)
- গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, দাঁতের সংক্রমণ বা মুখের ঘা থাকলে লালার পরিমাণ বেড়ে যায়।
-
স্নায়বিক সমস্যা (Neurological issues)
- স্ট্রোক, পারকিনসনস ডিজিজ বা নার্ভের দুর্বলতা থাকলে লালা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হতে পারে।
-
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Medication side effects)
- কিছু ঘুমের ওষুধ, মানসিক রোগের ওষুধ বা স্নায়ুর ওষুধ লালা বাড়াতে পারে।
-
মুখের গঠনজনিত কারণ (Oral structure issues)
- দাঁতের অবস্থান বা চোয়ালের বিকৃতি থাকলে মুখ বন্ধ রাখতে অসুবিধা হয়।
💊 চিকিৎসা ও প্রতিকার
-
ঘুমের ভঙ্গি ঠিক করুন
- পাশে বা উল্টো হয়ে না শুয়ে চিৎ হয়ে (পিঠের উপর) ঘুমান।
-
নাক বন্ধ বা সাইনাসের চিকিৎসা করুন
- নাক বন্ধ থাকলে লবণ পানি দিয়ে নাক ধুয়ে নিন বা ডাক্তারের পরামর্শে অ্যালার্জি/সাইনাসের ওষুধ নিন।
-
গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির নিয়ন্ত্রণ করুন
- হালকা খাবার খান, ঘুমানোর আগে ভারী খাবার পরিহার করুন।
- গ্যাস্ট্রিকের জন্য অ্যান্টাসিড বা প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর (যেমন Omeprazole, Esomeprazole) ডাক্তারি পরামর্শে নিতে পারেন।
-
মুখের যত্ন নিন
- নিয়মিত দাঁত ও মুখ পরিষ্কার রাখুন।
- ইনফেকশন বা দাঁতের সমস্যা থাকলে ডেন্টিস্ট দেখান।
-
প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
- যদি নিয়মিত লালা পড়ে, মুখ শুকিয়ে যায় বা কথা বলায় অসুবিধা হয়, তাহলে ENT বা নিউরোলজিস্টের পরামর্শ নিন।
🩺 কখন ডাক্তার দেখাবেন
- হঠাৎ লালা পড়া শুরু হলে
- কথা বা গিলতে অসুবিধা হলে
- মুখের একপাশ অসাড় লাগলে (স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে)
- ঘুমের মান কমে গেলে