মোবাইল ফোন দীর্ঘসময় বা অতিরিক্ত ব্যবহার করলে কয়েক ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হতে পারে। এগুলোকে রোগ বা জটিলতা হিসেবে ধরা যায়। প্রধান কয়েকটি হলোঃ
🧠 মানসিক ও স্নায়বিক সমস্যা
- স্ট্রেস ও উদ্বেগ: অতিরিক্ত নোটিফিকেশন, সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি।
- ঘুমের সমস্যা (ইনসমনিয়া): রাতে বেশি সময় মোবাইল ব্যবহার করলে মেলাটোনিন হরমোন কমে যায়।
- ডিপ্রেশন ও একাকিত্ব: ভার্চুয়াল জীবনের ওপর বেশি নির্ভরশীল হলে।
👀 চোখের সমস্যা
- ডিজিটাল আই স্ট্রেইন: দীর্ঘসময় স্ক্রিনে তাকালে চোখে ঝাপসা দেখা, শুষ্কতা, মাথাব্যথা।
- মায়োপিয়া (দূরদৃষ্টি সমস্যা): শিশু-কিশোরদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
📱 শরীরের ভঙ্গিমা-সংক্রান্ত সমস্যা
- টেক্সট নেক সিন্ড্রোম: ঝুঁকে মোবাইল দেখার কারণে ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা।
- হাত ও আঙুলের ব্যথা (টেন্ডোনাইটিস, কারপাল টানেল সিন্ড্রোম): দীর্ঘসময় টাইপিং বা গেম খেলার কারণে।
- পিঠের ব্যথা: একই ভঙ্গিতে বসে থাকার কারণে।
🌐 অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা
- শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া: দীর্ঘসময় হেডফোন/ইয়ারফোনে উচ্চ শব্দে গান শোনার কারণে।
- স্থূলতা ও ডায়াবেটিস ঝুঁকি: বেশি সময় বসে থাকার কারণে শারীরিক কার্যকলাপ কমে যাওয়া।
- ত্বকের সমস্যা: স্ক্রিনে জীবাণু জমে মুখে ব্রণ হতে পারে।
⚡ বিকিরণ-সম্পর্কিত সম্ভাব্য ঝুঁকি
- মোবাইল ফোন থেকে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (RF) রেডিয়েশন নির্গত হয়, তবে বিজ্ঞানীরা এখনও প্রমাণ পাননি যে এটি ক্যান্সারের সরাসরি কারণ। তবে দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা চলছে।
👉 প্রতিকার:
- প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ব্যবহার করুন।
- ২০-২০-২০ নিয়ম মেনে চলুন (প্রতি ২০ মিনিটে ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরে তাকান)।
- রাতে শোবার আগে মোবাইল ব্যবহার কমান।
- সঠিক ভঙ্গিতে ব্যবহার করুন।
- শিশুদের হাতে সীমিত সময়ের জন্য মোবাইল দিন।