Update News
গরমে মানুষের হিট স্ট্রোক (Heat Stroke) হওয়ার প্রধান কারণ হলো শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়া। সাধারণভাবে শরীর ঘাম ঝরিয়ে বা ত্বকের মাধ্যমে তাপ বাইরে বের করে দেয়। কিন্তু অতিরিক্ত গরম, আর্দ্রতা বা দীর্ঘ সময় ধরে রোদে/গরম পরিবেশে থাকার ফলে শরীর আর ঘাম দিয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তখন শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে গিয়ে বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি করে – একে হিট স্ট্রোক বলে।
হিট স্ট্রোক হওয়ার কারণগুলো:
1. অতিরিক্ত গরমে দীর্ঘ সময় থাকা – যেমন প্রখর রোদে কাজ করা, বাইরে খেলাধুলা করা বা গরম ঘরে থাকা।
2. শরীর পর্যাপ্ত পানি না পাওয়া (ডিহাইড্রেশন) – ঘামের মাধ্যমে পানি ও লবণ বের হয়ে গেলে শরীর ঠান্ডা হতে পারে না।
3. অতিরিক্ত আর্দ্রতা – আর্দ্র আবহাওয়ায় ঘাম শুকায় না, ফলে তাপ আটকে যায়।
4. অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম – গরমে দৌড়ানো, ভারী কাজ বা ব্যায়াম শরীরকে দ্রুত অতিরিক্ত গরম করে ফেলে।
5. বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থ মানুষ – যাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা দুর্বল থাকে, তাদের হিট স্ট্রোক সহজে হতে পারে।
6. কিছু ওষুধ বা স্বাস্থ্য সমস্যা – যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা ডিহাইড্রেশন বাড়ায় এমন ওষুধ খেলে ঝুঁকি বেশি।
হিট স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণ:
শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ ৪০° সেলসিয়াস বা তার বেশি হওয়া
ঘাম বন্ধ হয়ে যাওয়া (ত্বক শুকনো ও গরম)
মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
দ্রুত হৃদস্পন্দন, শ্বাসকষ্ট
বিভ্রান্তি, কথা জড়ানো বা খিঁচুনি
👉 হিট স্ট্রোক হলে এটি জরুরি অবস্থা। দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে ছায়াযুক্ত ঠান্ডা স্থানে নিতে হবে, কাপড় ঢিলা করতে হবে, ঠান্ডা পানি বা বরফ দিয়ে শরীর ঠান্ডা করতে হবে এবং দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।