Update News

প্রিয় ভিজিট'র আসসালামু আলাইকুম DoctorEbari.com এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আমরা সিলেট বিভাগে ফেইসবুক গ্রুপ- "সিলেট ডাক্তারি সহায়তা" এর মাধ্যমে দীর্ঘ দিন যাবত ফ্রী'তে ডাক্তারি তথ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় সুবিধাভোগিদের কথা চিন্তা করে আরও উন্নত চিকিৎসা তথ্য সেবা সহজ ভাবে প্রদান করার লক্ষে "DoctorEbari.com এর শুভসূচনা করলাম। এখন থেকে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনারা আপনার কাঙ্খিত ডাক্তারের তথ্য এবং বেশ কিছু ডাক্তারের Appointment নিতে পারেন। আপনাদের যে কোন পরামর্শ, কোন তথ্য Update এর প্রয়োজন হলে বলবেন এবং বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +447380563143

মানুষের শরীরে টিবি রোগ কেন হয়। টিবি রোগের চিকিৎসা-ki

মানুষের শরীরে  টিবি রোগ কেন হয়। টিবি রোগের চিকিৎসা-ki

টিবি (Tuberculosis / যক্ষা রোগ) হলো একধরনের সংক্রামক রোগ যা সাধারণত Mycobacterium tuberculosis নামক জীবাণুর কারণে হয়ে থাকে। এটি মূলত ফুসফুসে হয়, তবে শরীরের অন্যান্য অংশেও (হাড়, কিডনি, মস্তিষ্ক, লিম্ফনোড ইত্যাদি) হতে পারে।


✅ টিবি হওয়ার কারণ:

  1. সংক্রমণ:
    আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি, হাঁচি বা থুথুর মাধ্যমে জীবাণু বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। সেই জীবাণু শ্বাসের সাথে অন্য মানুষের ফুসফুসে প্রবেশ করলে টিবি হতে পারে।
  2. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে:
    যেমন অপুষ্টি, ডায়াবেটিস, এইডস (HIV), দীর্ঘমেয়াদি স্টেরয়েড/ইমিউনোসপ্রেসিভ ওষুধ সেবন করলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
  3. অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ:
    ভিড়, বাতাস চলাচল কম এমন জায়গায় থাকা।
  4. অপুষ্টি ও দুর্বলতা:
    শরীর দুর্বল হলে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না।

✅ টিবি রোগের সাধারণ লক্ষণ:

  • দীর্ঘদিন (২-৩ সপ্তাহের বেশি) কাশি, অনেক সময় রক্তসহ কাশি।
  • জ্বর, বিশেষ করে বিকেল বা রাতে জ্বর আসা।
  • রাতের বেলা ঘেমে যাওয়া।
  • ওজন কমে যাওয়া, ক্ষুধামন্দা।
  • দুর্বলতা ও ক্লান্তি।
  • বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট (ফুসফুসে হলে)।

✅ টিবি রোগের চিকিৎসা:

👉 টিবির চিকিৎসা পুরোপুরি সম্ভব, তবে নিয়ম মেনে ওষুধ খেতে হবে।

  1. DOTS (Directly Observed Treatment, Short-course):
    সরকারীভাবে বিনামূল্যে দেয়া হয়। সাধারণত ৬ মাস বা তার বেশি সময় ধরে ওষুধ খেতে হয়।
    • প্রথম ২ মাস: একসাথে কয়েকটি অ্যান্টি-টিবি ওষুধ (Isoniazid, Rifampicin, Ethambutol, Pyrazinamide)।
    • পরবর্তী ৪ মাস: কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ চলতে থাকে।
  2. পুরো কোর্স সম্পূর্ণ করা জরুরি:
    মাঝপথে ওষুধ বন্ধ করলে রোগ সারবে না, বরং ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট টিবি হতে পারে, যা অনেক কঠিন ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা।
  3. পুষ্টিকর খাবার ও বিশ্রাম:
    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  4. সংক্রমণ প্রতিরোধ:
    রোগীকে আলাদা রাখা, কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা, হাওয়াযুক্ত ঘরে থাকা।

👉 বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে টিবি পরীক্ষা ও চিকিৎসা করা হয়।


 

Share Views: 111