Update News

প্রিয় ভিজিট'র আসসালামু আলাইকুম DoctorEbari.com এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আমরা সিলেট বিভাগে ফেইসবুক গ্রুপ- "সিলেট ডাক্তারি সহায়তা" এর মাধ্যমে দীর্ঘ দিন যাবত ফ্রী'তে ডাক্তারি তথ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় সুবিধাভোগিদের কথা চিন্তা করে আরও উন্নত চিকিৎসা তথ্য সেবা সহজ ভাবে প্রদান করার লক্ষে "DoctorEbari.com এর শুভসূচনা করলাম। এখন থেকে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনারা আপনার কাঙ্খিত ডাক্তারের তথ্য এবং বেশ কিছু ডাক্তারের Appointment নিতে পারেন। আপনাদের যে কোন পরামর্শ, কোন তথ্য Update এর প্রয়োজন হলে বলবেন এবং বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +447380563143

ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা কারণ ও চিকিৎসা।

ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা কারণ ও চিকিৎসা।

ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া (Frequent urination) একটি সাধারণ সমস্যা, তবে এটি নানা কারণে হতে পারে। সঠিক কারণ নির্ণয় করলে চিকিৎসা সহজ হয়।

🔎 ঘন ঘন প্রস্রাবের সম্ভাব্য কারণ

  1. প্রচুর পানি বা তরল গ্রহণ – বেশি পানি, চা, কফি, কোমল পানীয় খেলে প্রস্রাব বেশি হয়।
  2. মূত্রথলির ইনফেকশন (UTI) – প্রস্রাবের সময় জ্বালা, জ্বালাপোড়া, ব্যথা ও ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে।
  3. ডায়াবেটিস – রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।
  4. প্রোস্টেট গ্রন্থির সমস্যা (পুরুষদের ক্ষেত্রে) – প্রোস্টেট বড় হলে প্রস্রাব আটকে থাকে, বারবার প্রস্রাবের বেগ হয়।
  5. ওভারঅ্যাক্টিভ ব্লাডার (Overactive bladder) – মূত্রথলি বারবার সংকুচিত হয়ে প্রস্রাবের বেগ তৈরি করে।
  6. গর্ভাবস্থা – গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে জরায়ু বড় হয়ে ব্লাডারে চাপ সৃষ্টি করে।
  7. কিডনি রোগ – কিডনির বিভিন্ন অসুখেও প্রস্রাবের পরিমাণ ও ঘনত্ব বদলায়।
  8. ওষুধের প্রভাব – বিশেষ করে ডাইইউরেটিক জাতীয় ওষুধ খেলে বেশি প্রস্রাব হয়।

🩺 করণীয় ও চিকিৎসা

জীবনধারায় পরিবর্তন

  • রাতে শোবার আগে অতিরিক্ত পানি না খাওয়া।
  • চা, কফি ও কোমল পানীয় কমানো।
  • হালকা ব্যায়াম ও ব্লাডার কন্ট্রোল অনুশীলন করা।

চিকিৎসা নির্ভর করবে কারণের উপর

  • UTI থাকলে: চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক নিতে হবে।
  • ডায়াবেটিস থাকলে: রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
  • প্রোস্টেট বড় হলে: ইউরোলজিস্টের পরামর্শে ওষুধ বা প্রয়োজনে অপারেশন লাগতে পারে।
  • ওভারঅ্যাক্টিভ ব্লাডার: বিশেষ ওষুধ ও ব্লাডার ট্রেনিং ব্যায়াম কার্যকর।
  • কিডনি সমস্যা: নেফ্রোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

⚠️ কখন ডাক্তার দেখাবেন

  • প্রস্রাবের সময় জ্বালা, রক্ত বা তীব্র ব্যথা হলে
  • হঠাৎ করে খুব ঘন ঘন প্রস্রাব শুরু হলে
  • অতিরিক্ত পিপাসা ও প্রস্রাবের সাথে ওজন কমে গেলে (ডায়াবেটিসের ইঙ্গিত)
  • প্রস্রাব আটকে যায় বা খুব কষ্টে বের হয়

 

 

Share Views: 96