ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া (Frequent urination) একটি সাধারণ সমস্যা, তবে এটি নানা কারণে হতে পারে। সঠিক কারণ নির্ণয় করলে চিকিৎসা সহজ হয়।
🔎 ঘন ঘন প্রস্রাবের সম্ভাব্য কারণ
- প্রচুর পানি বা তরল গ্রহণ – বেশি পানি, চা, কফি, কোমল পানীয় খেলে প্রস্রাব বেশি হয়।
- মূত্রথলির ইনফেকশন (UTI) – প্রস্রাবের সময় জ্বালা, জ্বালাপোড়া, ব্যথা ও ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে।
- ডায়াবেটিস – রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।
- প্রোস্টেট গ্রন্থির সমস্যা (পুরুষদের ক্ষেত্রে) – প্রোস্টেট বড় হলে প্রস্রাব আটকে থাকে, বারবার প্রস্রাবের বেগ হয়।
- ওভারঅ্যাক্টিভ ব্লাডার (Overactive bladder) – মূত্রথলি বারবার সংকুচিত হয়ে প্রস্রাবের বেগ তৈরি করে।
- গর্ভাবস্থা – গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে জরায়ু বড় হয়ে ব্লাডারে চাপ সৃষ্টি করে।
- কিডনি রোগ – কিডনির বিভিন্ন অসুখেও প্রস্রাবের পরিমাণ ও ঘনত্ব বদলায়।
- ওষুধের প্রভাব – বিশেষ করে ডাইইউরেটিক জাতীয় ওষুধ খেলে বেশি প্রস্রাব হয়।
🩺 করণীয় ও চিকিৎসা
✅ জীবনধারায় পরিবর্তন
- রাতে শোবার আগে অতিরিক্ত পানি না খাওয়া।
- চা, কফি ও কোমল পানীয় কমানো।
- হালকা ব্যায়াম ও ব্লাডার কন্ট্রোল অনুশীলন করা।
✅ চিকিৎসা নির্ভর করবে কারণের উপর
- UTI থাকলে: চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক নিতে হবে।
- ডায়াবেটিস থাকলে: রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
- প্রোস্টেট বড় হলে: ইউরোলজিস্টের পরামর্শে ওষুধ বা প্রয়োজনে অপারেশন লাগতে পারে।
- ওভারঅ্যাক্টিভ ব্লাডার: বিশেষ ওষুধ ও ব্লাডার ট্রেনিং ব্যায়াম কার্যকর।
- কিডনি সমস্যা: নেফ্রোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
⚠️ কখন ডাক্তার দেখাবেন
- প্রস্রাবের সময় জ্বালা, রক্ত বা তীব্র ব্যথা হলে
- হঠাৎ করে খুব ঘন ঘন প্রস্রাব শুরু হলে
- অতিরিক্ত পিপাসা ও প্রস্রাবের সাথে ওজন কমে গেলে (ডায়াবেটিসের ইঙ্গিত)
- প্রস্রাব আটকে যায় বা খুব কষ্টে বের হয়