ফুসফুসে পানি জমাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় প্লুরাল ইফিউশন (Pleural Effusion) বলা হয়। এটি তখন হয় যখন ফুসফুস ও বুকের ঝিল্লির মাঝখানে (Pleural space) অস্বাভাবিকভাবে পানি জমে।
ফুসফুসে পানি জমলে লক্ষণ
- শ্বাসকষ্ট – বিশেষ করে হাঁটার সময় বা শোয়ার সময় বেশি হয়।
- বুকের ব্যথা – বুকের এক পাশে চাপ ধরা বা ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
- শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া বা ভারী লাগা
- শুকনো কাশি (দীর্ঘদিন ধরে থাকতে পারে)
- জ্বর – সংক্রমণজনিত হলে হতে পারে।
- শ্বাসের সময় শব্দ (wheezing) বা হুইসেল বাজানো
- শরীর দুর্বলতা ও ক্লান্তি
ফুসফুসে পানি জমার কারণ
- নিউমোনিয়া বা ফুসফুসে সংক্রমণ
- যক্ষ্মা (টিবি)
- হৃদরোগ (হার্ট ফেইলিউর)
- লিভার বা কিডনির রোগ
- ক্যান্সার
করণীয়
- ডাক্তার দেখানো জরুরি – কারণ পানি জমার আসল কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসা করতে হবে।
- পরীক্ষা – এক্স-রে, আল্ট্রাসাউন্ড, সিটি স্ক্যান ও রক্ত পরীক্ষা করা হয়।
- ওষুধ
- সংক্রমণ থাকলে অ্যান্টিবায়োটিক।
- হৃদরোগ বা কিডনি সমস্যার কারণে হলে ডিউরেটিক (পানিশোষক ওষুধ)।
- টিবি থাকলে এন্টি-টিবি ওষুধ।
- থোরাসেনটেসিস (Thoracentesis) – অনেক বেশি পানি জমলে ডাক্তার সুই/টিউব দিয়ে পানি বের করে দেন।
- জীবনযাপন
- লবণ কম খাওয়া (কারণ লবণ পানি জমতে সাহায্য করে)।
- ধূমপান সম্পূর্ণভাবে পরিহার করা।
- শ্বাসকষ্ট হলে বেশি সময় শোয়ে না থেকে বসে থাকার চেষ্টা করা।
👉 সতর্কতা: ফুসফুসে পানি জমা কোনো ছোটখাটো সমস্যা নয়। দেরি করলে শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে এবং জীবন ঝুঁকির কারণ হতে পারে। তাই লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার (চেস্ট/হার্ট বিশেষজ্ঞ) এর কাছে যেতে হবে।