১. সাধারণ মেডিসিন (General Medicine)
ক) ডায়াবেটিস (Diabetes Mellitus):
..
..
Update News
আসসালামু আলাইকুম ও হিন্দু ভাইদের প্রতি আদাব। আশা করি ৩য় পর্বের সম্পূর্ণ কলাম পড়বেন। আজকে থাকছে মার্কেন্টাইল ব্যাংক এজেন্ট শাখায় এফডিআর ও ডিপিএস একাউন্টের সুযোগ সুবিধা নিয়ে। তার আগে আমার বেসিক কিছু তথ্য তুলে ধরছি। ২০০১ সালে ক্লাস ফাইভে ১ নাম্বারে পাশ করে নিজ এলাকার উক্ত প্রতিষ্ঠানে আর কোন শ্রেণী না থাকায় অন্যত্র ভর্তি হতে হয়। মনে আছে ক্লাস থ্রি ও ফোরে ক্লাস রোল ছিল এক যদিও টু তে খুব সম্ভবত ৪ ছিল। গ্রামের বাড়ী মৌলভীবাজার ২ নং আসনের বাদে ভূকশিমইল গ্রাম।
চলুন ব্যাংকের DPS ও FDR কি জেনে নিই। এফডিআর হলো ব্যাংকে এককালীন টাকা রেখে লভ্যাংশ গ্রহনের আশায় যে আমানত জমা রাখা হয়। আর ডিপিএস হলো প্রত্যেক মাসে সমান এমাউন্টের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত লাভের আশায় জমা দিতে হয়। যার ফলে একটা সময় অতিক্রম হলে মূল (আসল) টাকা সহ লাভ গ্রহণ করা হয় যা শুধু লাভের অংশ থেকে ১৫% ভ্যাট/টেক্স কাটা হয়ে থাকে কিন্তু মূল টাকায় কণ ভ্যাট বা কর কাটার সুযোগ নেই যদিও ১ লাখের উপরে থাকলে বছরে একবার এক্সাইজ ডিউটি সরকার কেটে নিবে, এখানে ১ লাখ থেকে ৪০ কোটির উপর ভিন্ন চার্জ নির্ধারণ করা আছে যা সকল ব্যাংকের ক্ষেত্রেরলই একই নিয়ম। ১-৫ লাখ একশ টাকা, ৫-১০ লাখ ৫শ টাকা এবং ১০+ হলে বছরে ৩,০০০ টাকা আবগারি শুল্ক সরকার পায়। বাকি চার্জ জানতে কমেন্ট করতে পারেন।
সাধারণত দেখা যায়, যে সকল ব্যাংক ক্যাপিটাল ক্রাইসিসে না সে সকল ব্যাংকে FDR রেট ৪-৬ শতাংশ হয়ে থাকে কিন্তু ডিপিএস রেট কিছু বেশী দেখা যায়। যা সাধারণত সময় ভেদে ৫-৮ শতাংশ লক্ষ করা গেছে।
এখানে খেয়াল করবেন, এজেন্ট ব্যাংকিং এনজিও বা বীমার সাথে তুলনা করতে ভুল হবে। এজেন্ট ব্যাংকিং সম্পূর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইড লাইন মেনে চলে যা নিজ নিজ ব্যাংকের ডিরেকশন ফলো করে পরিচালিত হচ্ছে।
কোন এজেন্ট শাখায় ডিপিএস বা এফডিআর এর টাকা জমা হওয়ার পর উক্ত এজেন্ট বন্ধ হয়ে গেলে কাছে যে কোন শাখায় কাগজাদি নিয়ে গেলে নায্য সেবা পাবেন। এখানে এজেন্ট শাখা ক্লোজ হলেও গ্রাহকের কোন সমস্যা হবে না, তবে আপনার টাকা ঠিক মতো একাউন্টে জমা হয়েছে কিনা নিশ্চিত হওয়া আপনার দায়িত্ব।
একাউন্ট খোলার সময় একটা সেভিংস হিসাব খুলতে হয়, যার মাধ্যমে লাভ ও খরচ উক্ত একাউন্টে লেনদেন দেখাবে। যদিও যে টাকা লাভের জন্য জমা দিয়ে দিবেন তা Savings Account থেকে কেটে নিয়ে ডিপিএস বা এফডিআর একাউন্টে চলে যাবে যা ভাঙ্গানো ছাড়া আর তুলতে পারবেন না।
আবার লক্ষ্য করুন, যে কোন ব্যাংকে লাভের উদ্দেশ্য যা টাকা রাখবেন উক্ত শাখা ছাড়া অন্য কোথাও ভাঙ্গানো হয় না বিধায় টাকাটা বেশ নিরাপদ বলা যায়। এদিকে সেভিংস একাউন্ট যেটি খুলবেন সেই একাউন্টে অন্যান্য যে কোন লেনদেনও করতে পারবেন।
যে কোন মূহুর্তে ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট নিতে পারবেন যেখানে সকল ট্রানজেকশন টাইমসহ উল্লেখ থাকবে। প্রতি জমা ও উত্তোলনে তো থাকছে ফ্রি এসএমএস। প্রত্যেক মাসে যে টাকা জমাবেন তা দেশের যে কোন শাখা, উপশাখা বা এজেন্ট শাখা থেকে জমা দেয়ার পাশাপাশি অন্য যে কোন ব্যাংক এমনকি বিদেশ থেকেও সরাসরি জমা দিতে পারবেন। এখানে প্রবাস থেকে রেমিট্যান্স পাঠালে সাথে ২.৫% বোনাস বাড়তি পাবেন।
ডিপিএস খোলা যায় ৩, ৫, ৮ ও ১০ বছরের জন্য এবং এফডিআর খুলতে পারবেন ১ মাস থেকে যেকোন সময়ের জন্য যা সর্বোনিম্ন টাকার পরিমাণ হতে হবে ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা।
যা কুলাউড়া উপজেলার, আপনারা কুলাউড়া এমবিএল এজেন্ট শাখায় এসে উক্ত একাউন্ট খুলতে পারেন। হিসাব খুলতে যে ডকুমেন্টস প্রয়োজন তা হলো নিজের ভোটার আইডি, এখানে এনআইডি যদি না থাকে তাহলে পাসপোর্ট দিয়ে করতে পারবেন। যদিও নমিনির উক্ত ডকুমেন্ট না থাকলেও জন্ম নিবন্ধন সনদ দিলেই চলবে।
খেয়াল করবেন, ডিপিএসের টাকা প্রতি মাসের ১-৫ তারিখের মধ্যে দিতে হয়, দেরি হলে ১০ তারিখ পর্যন্ত কিন্তু ১০ তারিখ অতিক্রম হলে কিছু কিছু ব্যাংকে অল্প জরিমানা কাটতে পারে যা প্রায় ২০ টাকা বা কম/বেশ হয়ে থাকতে পারে। আবার টানা ৩ মাস জমা না দিলে ডিপিএস অটো ক্লোজ হবার পসিবিলিটি রয়েছে। যা এফডিআর এ এই সিস্টেমিটি থাকে না।
ভালো থাকুন, আমার জন্য দোয়া করবেন। বিস্তারিত জানতে মার্কেন্টাইল ব্যাংক কুলাউড়া এজেন্ট শাখার ফেইসবুক পেইজ ফলো করে রাখতে পারেন যার নাম "মার্কেন্টাইল ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং, কুলাউড়া"
আবার ব্যাংক সংক্রান্ত নিখুঁত বিশ্লেষণ দেখতে ভিজিট করুন " SR Shiddiq Vlogs " ইউটিউব চ্যানেল।